ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার‘এনজিওগুলোতে স্থানীয়দের ছাঁটাইয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::

শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেছেন,রোহিঙ্গা শিবিরে নিয়োজিত বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থাসমূহে স্থানীয়দের ছাঁটাই করে ভিন্ন জেলার লোকজনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব এনজিওকে এ বিষয়ে তার অফিসে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

রোববার (২০ জানয়ারি)বিকালে শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সাথে মতবিনিময় ও স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।

কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সভাপতি,কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশের নেতৃত্বে মতবিনিময় সভা ও স্মারকলিপি প্রদানকালে বক্তব্য রাখেন,কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ,বিশিষ্ট পর্যটন শিল্প উদ্যোক্তা ও নিউজ পোর্টাল কক্সবাজার মেইল ডটকমের উপদেষ্ঠা সম্পাদক আবু শাহাদাত মো:সায়েম ডালিম ,পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক,দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মো:রাশেদ,মুক্তিযুদ্ধ প্রজম্মলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকার সহ সম্পাদক ও কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কান্তি দে, পরিষদের নারী বিষয়ক সম্পাদক ও ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফাতেমা আলম লিপি,গোলচত্তর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব নুরবখত কাজল,সাংবাদিক মো:রুস্তুম রানা প্রমুখ।

এ সময় শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামের কাছে কক্সবাজার সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়।দাবি সমূহ ১.রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সকল এনজিওতে চাকরির নিশ্চয়তার ভিত্তিতে স্থানীয়দের জন্য ৭০% কোঠা দিতে হবে,২.স্থানীয় চাকরিচুতদের স্ব স্ব পদ ফিরিয়ে দিতে হবে,৩.নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে স্থানীয় অফিসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি টানাতে হবে।পরীক্ষার ফলাফলে প্রকাশ্যে প্রকাশ করতে হবে,৪.রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে,৫.প্রত্যাবর্তনে উস্কানিদাতা এনজিওগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে,৬.রোহিঙ্গাদের বিশেষ বেষ্টনিতে রাখতে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে ওজেলাজুড়ে ছড়ানো ছিটানো রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে,জনাব আবুল কালাম উত্থাপিত দাবীর প্রতি সহমত পোষণ করলেও স্থানীয়দেরকে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি জানান, বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিশ হাজার মানুষ নিয়োজিত আছে। এর অর্ধেকই হলো স্থানীয়। তারপরও যারা ছাঁটাই হচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি,তাদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হবে।

তিনি পরামর্শ দেন,বর্তমানে যে সব বিদেশী কর্মকর্তা বিভিন্ন বিদেশী সংস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন, তারা দীর্ঘ মেয়াদে থাকবেন না। এরা শীঘ্রই স্থানীয়দের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করে চলে যাবেন।

তাই এইসব পদে নিয়োগ পাবার সুযোগ অপেক্ষা করছে।

রোহিঙ্গা শিবিরে চাকরী ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা করে হাজার হাজার স্থানীয় মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

এ সময় অ সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশ রোহিঙ্গা শিবিরে নিয়োজিত স্থানীয় এনজিওকর্মী ও স্থানীয় নিয়োগ প্রার্থীদের অভিযোগ দাখিল করার জন্য শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের অফিসে একটি অভিযোগ ডেস্ক চালু করার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটির প্রতি সম্মতি জানান শরণার্থী,ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জনাব আবুল কালাম।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন,মো:রাসেল,নিউজ পোর্টাল কক্সবাজার মেইল ডটকমের প্রতিনিধি বিপ্লব মুন্না,শরিফুল আলম শরীফ,মোহাম্মদ আশরাফুল সিদ্দিক নাহিদ,মো:হামিদ,মো:মোর্শেদ, বদিউল আলম,উসমান গণি আকাশ, সাহ আরাফ সোহাগ,অভি চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, মহিদুল আলম,সাইফুল ইসলাম মামুন, মো তারেক, মো হাবিব,তানবীর,অনিক,মো মারুফ,মো ইসমাঈল, সাজ্জাদ, রাশেদুল ইসলাম,মো সাইদুল,রবিউল আলম সহ প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: